মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত ডাবল এ প্লাস পাওয়া সাদিয়ার

মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত ডাবল এ প্লাস পাওয়া সাদিয়ার

মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত ডাবল এ প্লাস পাওয়া সাদিয়ার

মো: নূরুজ্জামান,গোমস্তাপুর(চাঁপাইনবাবগঞ্জ): ডাকনাম সাদিয়া। পুরো নাম মোসাঃ সাদিয়া আফরিন। বাবা রফজুল হক। রাস্তার মোড়ে চা সিঙ্গারার দোকান। সেখান থেকে কষ্টে চলে সংসার,চলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে বগুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন সাদিয়া। তার মেধাক্রম ২৪৫২ । খুশিতে উচ্ছ¡সিত পবিবার। কিন্তু বাবার চোখেমুখে হতাশা। পারবেন কি সাদিয়ার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে? সামান্য চা সিঙ্গারার দোকান ছাড়া আর কোন আয় নেই তার? কীভাবে মেয়েকে ডাক্তারী পড়ার খরচ চালাবেন? মেয়ের চোখে ডাক্তার হবার স্বপ্ন। বাবার চোখে হতাশার কালোমেঘ। তবে কি সাদিয়ার ডাক্তার হবার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যাবে? চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নে মকরমপুর গ্রামের দরিদ্র রফজুল হকের পরিবারের চিত্র এটি।

সাদিয়ারা দুইবোন দুই ভাই। বড়ভাই বাবার সাথে দোকান চালায়। ছোটভাই বাদশা বাবাকে দোকানে সাহায্য করার পাশাপাশি পড়ছে রহনপুর ইউুসফ আলী কলেজে সম্মান তৃতীয়বর্ষে। একই কলেজ থেকে সে এবছর জিপিএ ৫ নিয়ে এইচএসসি পাস করে। আর ছোটবোন আখিঁ খাতুন পড়ছে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে। সাদিয়ারা দুইবোনই খুবই মেধাবী। জেএসসি এসএসসি ও এইচএসসি সব পাবলিক পরীক্ষায় দুইবোনের ফলাফল এ প্লাস।

 

বগুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির অপেক্ষায় সাদিয়া আফরিন। বাবা সামান্য চায়ের দোকানে রাতদিন খেটে সংসার সামলান। ছেলেমেয়েদের পড়ার যোগাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। ডাক্তারী পড়ার সুযোগ পেয়েও যদি টাকার অভাবে মেয়েটার লেখাপড়া করাতে না পারি এ দুশ্চিন্তায় এখন রফজুল এবং তার পরিবারের।সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন সাদিয়ার পিতা। সাদিয়ার পড়ালেখায় কেউ আর্থিক সহযোগিতা করলে পরিবার চিরকৃতজ্ঞ থাকবে বলে জানান সাদিয়ার পিতা রফজুল হক। সাদিয়া আফরিনকে যারা সহযোগিতা করতে চান তারা সাদিয়া বড় ভাই বাদশা বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর-০১৭৮৫৪৬৭৭৭২ যোগাযোগ করতে পারেন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply